সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দখলদার ‘ইসরায়েলি’ হত্যাকাণ্ড শুরুর পর দেশ ছেড়ে তুরস্কে পাড়ি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লেবানন-ভিত্তিক সংবাদ চ্যানেল আল মায়াদিন।
খবরে বলা হয়, দামেস্কে ‘ইসরায়েলি’ হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সিরিয়ার রাজধানী ত্যাগ করেছেন। তুর্কি গোয়েন্দারা গোপনে তাকে ও তার তিনজন নেতাকে দামেস্ক থেকে বিমানযোগে আঙ্কারায় নিয়ে যান।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, সপরিবারে তুর্কি গোয়েন্দাদের সাহায্যে রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন তিনি।
তবে এখন পর্যন্ত আল-শারার দেশত্যাগের এই খবর স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলার অংশ হিসেবে ‘ইসরায়েলি’ যুদ্ধবিমান রাজধানী দামেস্কসহ সিরিয়ায় বোমা হামলা চালিয়েছে, যা এই অঞ্চলকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
‘ইসরায়েল’ বলছে, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুওয়াইদায়ে অবস্থিত সিরিয়ার সংখ্যালঘু দ্রুজদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইসরায়েল’ তার নিজস্ব স্বার্থে সংঘাত ও বিভাজনের বীজ বপন করার চেষ্টা করছে।
এদিনের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দ্রুজ যোদ্ধারা কয়েক জন বেদুইনকে অপহরণ করে, যার জেরে আরও সংঘাতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার রাজধানী দামেস্ক থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এলাকায় সেনা পাঠায় প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা’র নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রাথমিকভাবে দ্রুজ যোদ্ধারা সেনাদের প্রতিরোধ করলেও পরবর্তীতে তারা অস্ত্র সমর্পণ করে। সরকারি বাহিনীর গুলিতে ১৯ জন দ্রুজ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, আমেরিকা সিরিয়ায় সহিংসতার নিন্দা করে এবং সিরিয়ার সরকারকে এগিয়ে যাওয়ার পথে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বর্তমান সংকট মোকাবেলা ও দুই সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমরা ‘ইসরায়েল’ এবং সিরিয়ার সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ করছি।”
হোয়াইট হাউস সিরিয়ায় ‘ইসরায়েলি’ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :