বাংলাদেশে স্মার্টফোন এখন আর কেবল গ্যাজেট নয়। কাজের জায়গা, ক্লাসরুম, ক্যামেরায় ছবি তোলা এমনকি ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে এটি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখন শুধু ফোন থাকাই যথেষ্ট নয়।
ফোন আপনার কাজের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে কি না, চাহিদা বুঝতে পারছে কি না বা ব্যস্ততা কমাতে পারছে কি না, তা-ই এখন আসল চ্যালেঞ্জ।
আর এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোকে নিজেদের পণ্য ও ডিভাইস ডিজাইন করতে হয়, ফোনে যুক্ত করতে হয় অত্যাধুনিক ফিচার ও টেকনোলজি। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে টেকনোর ক্যামন সিরিজ।
সামনে ঈদ। এবার ঈদে কেবল আলাপে নয়, অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে টেকনো। এবার স্মার্টফোন দিয়ে জীবনকে সহজ করে তোলা আসলেই সম্ভব হবে। স্মার্ট টুলস, নান্দনিক ডিজাইন ও সমৃদ্ধ পারফরম্যান্স, সবকিছু এমন এক দামে আসছে, মনে হবে যেন ঠিক উপহার। ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে আর কী লাগে!
ব্যাংকার রহিম সালেহ ঢাকায় থাকেন। ক্লায়েন্ট কল আর মিটিংয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন তিনি, তাও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে। তিনি বলেন, ‘ক্যামন ৪০ প্রো-এর স্মার্ট এআই কল অ্যাসিস্ট্যান্ট আমার জীবন বাঁচায়।’
‘এটি ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ দূর করে, কলে কী কী আলোচনা হয়েছে তার সামারাইজ করে দেয় যেন আমি মূল প্রসঙ্গে মনোযোগ দিতে পারি, এমনকি ইন্টারন্যাশনাল টকগুলো ট্রান্সলেশন করে দেয়।’
‘এমনকি চলার পথে থাকলেও ১২০ হার্জ অ্যামোলেড ডিসপ্লের কারণে, রিপোর্ট বা ক্লায়েন্ট ডেটা স্ক্রল করা আসলেই অনেক সাবলীল হয়েছে।’ পাশাপাশি ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং থাকায়, বিরতির সময় ফোন দ্রুত চার্জ হয়; ফলে পরের কলের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা যায়।
চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা আয়েশা তাইয়েব ক্যামন ৪০ দিয়ে পোশাক ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘অর্ডার বাড়লে এআই স্টুডিও ক্যামেরা আমাকে প্রফেশনাল মানের প্রোডাক্ট শট তৈরি করতে সহায়তা করে, আর এ জন্য কোনো সহকারীও নিতে হয় না আমার।’
‘এটা ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে দেয়, রিয়েল টাইমে কালারকে সমৃদ্ধ রাখে। ৬.৭৮ ইঞ্চির বড় স্ক্রিনে আমি মাল্টিটাস্ক করতে পারি; ইনভেন্টরি অ্যাপ চেক করি, গ্রাহকদের উত্তর দিই, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ম্যানেজ করি। ফোনে হেলিও জি ১০০ প্রসেসর ও ১৬ জিবি র্যাম থাকায় একাধিক অ্যাপ চালালেও কোনো ল্যাগ হয় না।’
আর শক্তিশালী ৫,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ফাস্ট চার্জিংয়ের কারণে ব্যস্ত দিনেও তাকে ব্যাটারি শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাবিলা জামান ক্যামন ৪০-কে তার পড়াশোনার সঙ্গী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘হাতে লেখা নোটের ছবি তুলে তা মুহূর্তেই ওয়ার্ড ডকুমেন্টে, পিডিএফ বা এক্সেলে পরিণত করে, যা আমার অনেক সময় বাঁচায়। আবার প্রাইভেট ইনফো-ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লার করে দেয় অ্যাসিস্ট্যান্ট।’
‘এ ছাড়াও রাতভর পড়াশোনার সময় আমার চোখকে আরাম দেয় এর প্রাণবন্ত অ্যামোলেড স্ক্রিন; ব্যাটারিও বেশ দীর্ঘস্থায়ী। এটি এমন একটি পোর্টেবল স্টাডি পার্টনার, যা আমাকে কখনো হতাশ করেনি।’
সিলেটের একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট নির্মাতা আরিফ হোসেনও ক্যামন ৪০ প্রো’র ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্যামন ৪০ প্রো’র ৫০ মেগাপিক্সেল ফ্ল্যাশস্ন্যাপ ক্যামেরা অসাধারণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। চলন্ত অবস্থাতেও খুব সুন্দর ছবি তোলা যায়।’
‘ছবি তোলার সময় ক্যামেরার এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোর ভারসাম্য বজায় রাখে; বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। বিভিন্ন এআই ফিচার থাকার কারণে আমি সহজেই স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে আমার তোলা ছবিগুলো এডিট করতে পারি। এই ফোনে ফার্স্ট চার্জিংয়ের সুবিধা ও দুর্দান্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ রয়েছে; ফলে আমি আরও বেশি সময় বাইরে নিশ্চিন্তে কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারি।’
এতসব দুর্দান্ত ফিচার থাকা সত্ত্বেও ক্যামন ৪০ সিরিজের ডিভাইসের মূল্য খুব বেশি না। এই ঈদ-উল-আযহায়, ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজসহ ক্যামন ৪০ ফোনের মূল্য মাত্র ২২,৪৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৩,৯৯৯ টাকায়। নিজের ফোনে প্রো অভিজ্ঞতার জন্য আপনি কিনতে পারেন ক্যামন ৪০ প্রো, যার মূল্য মাত্র ২৭,৯৯৯ টাকা।
এই সিরিজে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ১২০ হার্টজ আল্ট্রা-স্মুথ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, হেলিও জি১০০ আল্টিমেট প্রসেসর, ১৬ জিবি র্যাম (মেমোরি ফিউশনসহ) এবং ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। এসব ফিচার ব্যবহারকারীর জন্য নিশ্চিত করবে সেরা পারফরম্যান্স।
ক্যামন ৪০ সিরিজের মতো ডিভাইস এখন আর কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এগুলো আধুনিক যুগের মানুষদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
অত্যাধুনিক এই ডিভাইসগুলো আপনার সহকারী, ক্যামেরা ক্রু, বন্ধু এবং শেখার মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে। এই ফোন হাতে থাকলে আপনি হয়ে উঠবেন আরও স্মার্ট, জীবনে আসবে গতি।
আপনার মতামত লিখুন :