ঢাকা শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫

জামিনের পর কারা ফটকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল কবির খোকন। ছবি- সংগৃহীত

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল কবির খোকনকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কারা ফটক থেকে জামিনে মুক্তির পরপরই আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাকে নেত্রকোনা মডেল থানার একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও এভাবে বারবার গ্রেপ্তার করা সভ্য সমাজে কাম্য নয়। হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। 

এসব মামলায় জামিন পেলেও পুলিশ তাকে আবার গ্রেপ্তার করছে, যা মূলত হয়রানি করার জন্যই করা হচ্ছে।

থানা-পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বারহাট্টা থানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। 

খাইরুল কবিরকে ওই চারটি মামলাতেই আসামি করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে র‍্যাব-১৪ তাকে আটক করে।

পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। কিন্তু প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়াতেই নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, খাইরুল কবিরকে শহরের কুড়পাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনার ১০টি থানায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬৮টি মামলা হয়েছে। 

এসব মামলায় ৬ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।