ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

লেখা খারাপ হওয়ায় শিশুর হাত ঝলসে দিলেন শিক্ষিকা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
ঝলসে যাওয়া শিক্ষার্থীর হাত। ছবি- সংগৃহীত

কয়েকদিন আগেই শিক্ষিকার কাছে বকা খেয়েছিল আট বছরের মুহাম্মদ হামজা খান। কারণ, তার হাতের লেখা খারাপ। কিন্তু হাতের লেখার উন্নতি না দেখে চটে যান শিক্ষিকা। এবার শুধু বকাঝকায় সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি, ছাত্রকে দিলেন চরম শাস্তি।

জলন্ত মোমবাতি শিশু শিক্ষার্থীর হাতে রেখে দেন কয়েক মিনিট। আগুন পুড়ে ঝলসে যায় হাতের তালু। বিষয়টি লুকাতে চেয়েছিলেন শিক্ষাকা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটে ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মালাডে। মুহাম্মদ হামজা খান (৮) লক্ষধাম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

হামজার বাবা মুস্তাকিন খান জানিয়েছেন, বিকেলে স্কুল  থেকে ফিরে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭-৯টায় মালাডের জেপি ডেকস বিল্ডিংয়ে রাজশ্রী রাঠোর নামের এক গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে পড়াশোনা করতে যেত। হামার বড়বোন তাকে দিয়ে আসত। ঘটনার দিন যথারীতি সন্ধ্যায় পড়তে যায় সে। রাতে ওই শিক্ষিকা ফোন করে জানান, হামজা খুব কান্নাকাটি করছে। তাকে যেন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাড়িতে ফেরার পর হামজা ঘটনার বিবরণ দেয়। সে জানায়, হাতের লেখা খারাপ হওয়ায় জলন্ত মোমবাতির উপরে তার হাতের তালু রেখে শাস্তি দিয়েছেন শিক্ষিকা। তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাবাসাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পরেই থানায় ওই গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

গত বছর আগস্ট মাসে একই কারণেই ছয় বছরের মেয়ে নিগ্রহের শিকার হয় মহারাষ্ট্রে। খারাপ হাতের লেখার জন্য শাস্তি হিসেবে তাকে চরম শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাতেও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল থানে জেলায়।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টায় শিশুকে পড়াতে এসেছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু তার খারাপ হাতের লেখা দেখেই রেগে যান শিক্ষিকা। শাস্তি হিসেবে লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষিকা। পড়ানোর পর কাঁদতে কাঁদতে বাবা-মায়ের কাছে ছুটে গিয়ে অভিযোগ জানায়। তার গায়েও আঘাতের চিহ্ন ছিল।