ঢাকা বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪২, মৃত্যুর শঙ্কা প্রকাশ জাতিসংঘের

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
উপকূলে টহল দিচ্ছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। ছবি- সংগৃহীত

লিবিয়ার উপকূলে রাবারের নৌকা ডুবে অন্তত ৪২ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ২৯ জন সুদান, ৮ জন সোমালিয়া, ৩ জন ক্যামেরুন এবং ২ জন নাইজেরিয়ার নাগরিক রয়েছেন বলে জানায় জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম। ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টার সময় এ দুর্ঘটনায় নৌকার সব যাত্রী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) আইওএম জানায়, ছয় দিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পর নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র সাত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ডুবে যাওয়া নৌকার ৪২ আরোহী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃত সাত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে চারজন সুদানের, দু’জন নাইজেরিয়ার এবং একজন ক্যামেরুনের নাগরিক।

লিবীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৪৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে নৌকাটি লিবিয়া উপকূলের আল-বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে ডুবে যায়। এরপর ছয় দিন সাগরে ভেসে থাকা সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

উন্নত জীবনের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় লিবিয়াকে তাদের প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে বেছে নেন। এই পথে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় অভিবাসীদের প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রায়ই লিবিয়া কিংবা তিউনিশিয়া উপকূল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যাত্রা করা নৌকার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। আর এরপর থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি প্রধান ট্রানজিট রুট হয়ে উঠেছে। যদিও লিবিয়ায় অভিবাসীরা নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং মানবপাচারের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে বছরের পর বছর ধরে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।