ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

আবু সাঈদ হত্যা, অভিযোগ গঠনের তৃতীয় দিনের শুনানি আজ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
আবু সাঈদ। ছবি- সংগৃহীত

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন নিয়ে আজ বুধবার (৩০ জুলাই) তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এ আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেবেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজকের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন– সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত শুনানিতে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করেন। বেরোবির সাবেক প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে ছিলেন সালাহউদ্দিন রিগ্যান।

এ মামলার ছয় আসামিকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন–এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।


 
এদিকে, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় সরকারি খরচে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে আগে নিয়োগ পাওয়া চার আইনজীবীর মধ্যে একজনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
 
এর আগে ২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওইদিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হয়।


 
গত ২২ জুলাই এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
 
ওইদিন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে এখনো ২৪ জন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে আদালতে হাজির না হওয়ায় পলাতক হিসেবেই এসব আসামির বিচারকাজ চলবে। আর গ্রেপ্তার ছয়জনের দুজন এখনো আইনজীবী নিয়োগ দেননি। তাদের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছেন।

এ ছাড়া পলাতক ২৪ জনের পক্ষে সরকারি খরচে চারজন স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অর্থাৎ ছয়জনের জন্য একজন করে আইনজীবী লড়বেন।

এর আগে গত ১৩ জুলাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য মামলায় গ্রেপ্তার রাসেল ও পারভেজকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক ২৪ জনকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

গত ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়।