বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথীর ছবি দেখিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়।
বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আসামি তৌহিদ আফ্রিদির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বাদীর আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন, ঢাকা বারের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান মুকুল রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, তৌহিদ আফ্রিদি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। এই আসামি লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের ওপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড করতে উৎসাহিত করেন। তাকে রিমান্ডে নিলে জানা যাবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত, কার কি নির্দেশনা ছিল। কারা অর্থদাতা ও অস্ত্রদাতা। এই আসামি ডিবির হারুনের সঙ্গে একাধিক লাইভ করেছেন। এসময় তারা আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, আফ্রিদি আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেন তিনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথীর ছবি দেখিয়ে বলেন, আসামির আলাদা রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই। তার বাবা ব্যবসায়ী। কোনো রাজনৈতিক দলের পদ-পদবি নেই। আফ্রিদির কিডনিতে জটিলতা আছে জানিয়ে তাকে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের কাছে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা চাওয়া হয়। এরপর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। শুনানি শেষে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পেটে হাত দিয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায় আফ্রিদিকে।