ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইনুর বিরুদ্ধে ফের সাক্ষ্যগ্রহণ ৭ ডিসেম্বর

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
হাসানুল হক ইনু। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ সিদ্ধান্ত দেন। প্যানেলের অন্য সদস্য হলেন জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এদিন দুই নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়া বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহাকে জেরা করেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তার আগের দিন, সোমবার, তিনি সাক্ষ্য দেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, সাইমুম রেজা তালুকদার, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

প্রথম সাক্ষী মো. রাইসুল হক, যিনি মেহেরপুরের বাসিন্দা হলেও আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ার একটি মেসে থাকতেন, সোমবার আদালতে ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। তিনি জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা ছিলেন হাসানুল হক ইনু। হামলায় তার কপালেও গুলি লেগেছিল, তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হন। তিনি ইনুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে ৩০ নভেম্বর মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। একই দিনে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ইনুর করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে ট্রাইব্যুনাল। গত ২ নভেম্বর ইনুর বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় কুষ্টিয়ায় নিহত ছয়জন হলেন, শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী এবং চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ। এ হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ইনুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ আটটি অভিযোগ আনা হয়। প্রসিকিউশন মোট ২০ জন সাক্ষী এবং নথি হিসেবে তিনটি অডিও ও ছয়টি ভিডিও উপস্থাপন করেছে।