ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে চলমান আইনি জটিলতা নতুন মোড় নিয়েছে। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা আপাতত আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত থেমে গেল। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এই আদেশ দিয়েছেন।
ফলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। অর্থাৎ, ডাকসু নির্বাচন স্থগিত থাকবে কি না—সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে নির্ভর করছে।
আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের এই আদেশে নির্বাচনি প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা খানিকটা বাড়লেও চূড়ান্ত সমাধানের পথও খুলে গেল। আগামীকাল শুনানির মাধ্যমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে, নাকি বাতিল হবে, সেটিই হবে মূল প্রশ্ন।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বহাল। আগামীকাল ফুল কোর্টে শুনানি।’
এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর চেম্বার আদালতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে এক আদেশে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী—এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান ৪৭১ জন।