বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

‘ছয়টি লাশ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ’

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ০২:১৬ পিএম

আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ। ছবি- সংগৃহীত

আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ। ছবি- সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশ সদস্য শেখ আবজালুল হক।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জবানবন্দি দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেছেন, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এএফএম সায়েদ ও সাবেক এসআই বিশ্বজিৎ সাহা কয়েকজন পুলিশ মিলে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে গুলি করে ৬ জনকে হত্যার পর লাশ পিকআপ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়।

এ সময় শহিদদের জন্য কিছু করতে না পারায় তাদের পরিবারসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আবজালুল।

ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এ মামলায় ২৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে গত বছরের ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া ঘটনার পুরো বর্ণনা তুলে ধরেন রাজসাক্ষী আবজালুল। যদিও মরদেহ পোড়ানোর সময় তিনি ছিলেন না। তবে ১৫ আগস্ট নিজের ইস্যু করা অস্ত্র জমা দিতে এসে জানতে পারেন লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা।

চলতি বছরের ২১ আগস্ট এ মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ওই সময় উপস্থিত আট আসামির সাতজনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে দোষ স্বীকার করেন এসআই শেখ আবজালুল হক। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে মামলার ব্যাপারে যা জানেন সব আদালতের কাছে বলতে চান। পরে তার দোষ স্বীকারের অংশটুকু রেকর্ড করা হয়। একইসঙ্গে লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজসাক্ষী হওয়ার অনুমতি পান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও বিশেষ পরিস্থিতির কারণে হয়নি। যদিও আসামিদের হাজির করা হয়। ১২ নভেম্বরও একই কারণে সাক্ষীকে হাজির করেনি প্রসিকিউশন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। 

পেট্রোল ঢেলে তাকেও পুড়িয়ে মারেন তারা। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!