শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম

যেভাবে ‘অগ্নিকন্যা’ হয়ে উঠেন মতিয়া চৌধুরী

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম

যেভাবে ‘অগ্নিকন্যা’ হয়ে উঠেন মতিয়া চৌধুরী

মতিয়া চৌধুরী। ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী এক নাম মতিয়া চৌধুরী। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে বলা হয় ‘অগ্নিকন্যা’। তার চলাফেরা ছিল সাদামাটা। জীবন-যাপনে সাজগোজে অভ্যস্ত ছিলেন না কখনো।

অগ্নিকন্যাখ্যাত মতিয়া চৌধুরী নেতা হয়েই আওয়ামী লীগে যুক্ত হন; আওয়ামী লীগে এসে নেতা হননি তিনি। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা ভালোবেসে তাকে ডাকত অগ্নিকন্যা বলে।

সেই নেত্রী ক্ষমতাধর হওয়ার পরও সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। কোনো লোভ-লালসা তাকে তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। সেই রাজপথের নেত্রী ক্ষমতাসীন হয়েও সদাসতর্ক। সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন না। অনেকের কৌতূহল, নীরব কেন বেগম মতিয়া চৌধুরী?

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় সংসদের উপ-নেতা ছিলেন।

মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয় তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ১৯৬৩ সালে রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী। পরের বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়ন মতাদর্শিক কারণে বিভক্ত হলে মতিয়া চৌধুরী এক অংশের সভাপতি নির্বাচিত হন। অন্য অংশের সভাপতি হয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন। সেই হিসাবে ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপ ও ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপ নামে পরিচিতি পেয়েছিল।

১৯৬৭ সালে মতিয়া চৌধুরী অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দেন। ছাত্রজীবন থেকে বক্তব্যের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল গঠন করলে সেখানে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি বাকশালের ১১৭ নম্বর সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন মতিয়া চৌধুরী।

১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলটির কৃষি সম্পাদকের দায়িত্ব পান। যে দায়িত্বে তিনি ২০০২ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ২০০২ সালের সম্মেলনে মতিয়া চৌধুরী দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই পদে ছিলেন তিনি।

১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেরপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে দলটি ক্ষমতায় আসলে তাকে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৯ সালেও একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

একাদশ জাতীয় সংসদের উপ-নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যাওয়ার পরে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে সংসদের উপ-নেতা হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পান তিনি।

আরবি/ এইচএম

Link copied!