ঢাকার ধানমন্ডি ৩২-এ অবস্থিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত চার দিন ধরে চলে আসছে বাড়ির দেয়াল ভাঙা, রড এবং সিমেন্টের স্ক্রাব অপসারণের কাজ।
বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ থেকে রড ও অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন নিম্নবিত্তরা, আবার কেউ কেউ তা স্মারক হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন মানুষ বাড়ির সামনে জড়ো হতে থাকে, কেউ কৌতূহল নিয়ে ভবনের বিভিন্ন তলায় ওঠে ঘুরে দেখছেন।
তাদের মধ্যে অনেকে বলেন, শেখ মুজিবের বাসভবনের শেষ চিহ্নটি ধুলোর মধ্যে মিশিয়ে ফেলবেন তারা।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত এই বাড়ির ধ্বংসাবশেষ এখন অনেকে বিক্রি করছে এবং স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে নিচ্ছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বাড়ির শেষ চিহ্ন ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে হাতে হাতুড়ি নিয়ে কাজ করছে, এবং তারা বলছেন, এ বাড়ির চিহ্ন মুছে ফেলবেন তারা।
আজ (শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সীমানা দেয়াল ভাঙার কাজ চলে। নতুন একটি ভবনের বেসমেন্টের আশপাশে কৌতূহল দেখা গেছে। এখানেও ভেতরে কিছু অনুসন্ধান চলছে, বিশেষ করে আয়নাঘর সন্দেহে চলে তল্লাশি। এরই মধ্যে দাবি উঠেছে, বিষয়টি তদন্ত করার।
৫ ফেব্রুয়ারি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক অবস্থায় চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারমূলক বক্তব্য রাখলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেই ক্ষোভের জেরে এই ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরু হয়েছে।
স্বৈরাচার পুনর্বাসনের সব পথ বন্ধ করার জন্য ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক বাড়ি ৬৭৭ নম্বর বাড়ির শেষ চিহ্নগুলো ধ্বংস করে ফেলছে। তাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত এই বাড়ির ধ্বংসই হবে স্বৈরাচারের শেষ পরিণতি।
আপনার মতামত লিখুন :