সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে দেশের পাঁচটি বিভাগে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস ও মহানগরীতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে ওই পাঁচটি বিভাগে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এর আগে সকাল ১০টার ভারী বৃষ্টিপাত সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (১৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার, যা দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বইছে। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শ্রীমঙ্গলে—৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বান্দরবানে—২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে—১৫২ মিলিমিটার।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্র ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।