একদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, অন্যদিকে নির্বাচন পেছানোর দাবি এই দ্বৈত অবস্থানকে ‘দ্বিচারিতা’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, ‘জামায়াত ৩৩ থেকে ৩৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, আবার একই সময়ে নির্বাচন পেছানোরও দাবি তুলছে।’
রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘একদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, অন্যদিকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানাচ্ছে, এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়। যদি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হয়, তাহলে দেড় বছর সময় থাকবে। তাতেও কি নির্বাচন সংস্কারের জন্য যথেষ্ট নয়?’
রিজভী আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এবং ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের অতীত ইতিহাস প্রমাণ করে, তারা কখনোই জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের কাছে জনগণ নয়, বরং তাদের নিজস্ব স্বার্থই বড়। তাই তাদের রাজনীতিতে কখনোই সাফল্য আসেনি। দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান, আর মুসলমানরা কথা রাখে। কিন্তু জামায়াত কথার বরখেলাপ করেছে বারবার।’
রিজভী নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, ‘যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকুই রয়েছে। তাহলে কেন নির্বাচন পেছানোর দাবি?’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যারা একসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ ছিলেন, তারাও এখন অবস্থান পরিবর্তন করছেন। কারবালার ইতিহাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষা নিচ্ছে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।’
রিজভী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সংবিধানসম্মত সময় অনুযায়ী নির্বাচন হোক এবং ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে হস্তান্তর করা হোক।’