ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরোতে চলমান ব্রিকস সম্মেলনে ইরান পেয়েছে বড় কূটনৈতিক সমর্থন। জোটের সদস্য দেশগুলো গত মাসে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের 'বিনা উসকানিতে' চালানো সামরিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
রোববার (৬ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এ অবস্থান জানায় ব্রিকস নেতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরানের বিরুদ্ধে ১৩ জুন ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া সামরিক হামলার প্রতি আমরা কড়া নিন্দা জানাই। পাশাপাশি, বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক স্থাপনায় ইচ্ছাকৃত হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
১১ সদস্যের জোটের বিবৃতিতে এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরাসরি বলা হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিকস জোটের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে এই বিবৃতি ইরানের জন্য এক বড় কূটনৈতিক বিজয়। সম্মেলনের শুরুর দিকেই ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়, বিশেষ করে নিন্দা বিবৃতির ভাষা নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত তেহরানের অনুরোধেই বেশ কঠোর ভাষায় বিবৃতি দেয় জোট।
ব্রিকস সদস্য দেশগুলো আরও এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনেরও নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকা ও অন্যান্য অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সেনা শতভাগ প্রত্যাহার করতে হবে।’
তবে গাজা ও ইরান ইস্যুর বাইরেও সম্মেলনের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নতুন বাণিজ্য শুল্ক—যাকে ‘ট্র্যাম্প শুল্ক’ বলা হচ্ছে। ১ আগস্ট থেকে যেসব দেশ এখনো ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেনি, তাদের ওপর এই শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিকস নেতারা।
বর্তমানে ব্রিকস জোটে যুক্ত আছে—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়া।