ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৮১

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৮:৪১ এএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ছবি-সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নারী-শিশুসহ ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন।

রোববার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি বলছে, রোববার সারাদিন ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং একাধিক পরিবারের সদস্য রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র ও চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, গাজার শেখ রাদওয়ান ও আল-নাসর এলাকায় দুইটি বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। সেখানে বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। 

ওয়াদি গাজার দক্ষিণে এক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী গোলাবর্ষণ করলে ৪ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হন বলে আল-আউদা হাসপাতালের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আল-শিফা হাসপাতাল জানায়, নিহতদের মরদেহ খণ্ডবিখণ্ড অবস্থায় এসেছে এবং আহতদের সংখ্যা ছিল অনেক। খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় দুটি অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশু ও এক গর্ভবতী নারী রয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে যে, গত চার সপ্তাহে মানবিক সহায়তা পেতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১০০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বা তার কাছাকাছি সময়ে আরও ৬০০০ জন আহত হয়েছেন।

ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ফিলিস্তিনি হত্যা আর নতুন নয় যার জন্য জিএইচএফকে ‘মানবিক কসাইখানা’ও আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায়  আহত হয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৭ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে এবং অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে।