ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

নবাবগঞ্জে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের এক ঘণ্টা পর যুবদল নেতার লাশ উদ্ধার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ১১:৫০ এএম
নিহত মো. আমজাদ হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জে বাড়ির পাশের খেত থেকে যুবদলের সাবেক এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৬ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মৃধাকান্দা এলাকায় একটি ধনখেতের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর মাত্র এক ঘণ্টা আগে, ভোর ৪টার দিকে একটি চেক জালিয়াতির মামলায় আমজাদকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে গিয়েছিল নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ।

নিহত মো. আমজাদ হোসেন ওই এলাকার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে ও নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোর ৪টার দিকে চেক জালিয়াতির মামলায় আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে যায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। তাকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়। পুলিশের গাড়ি চলে গেছে জানতে পেরে আমজাদ ঘর থেকে বের হন। পরিবারের ধারণা, তিনি ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। তবে ভোর ৫টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন ধনখেতের পাশে আমজাদকে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরে আমজাদকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমি জানি না আমার স্বামী কীভাবে মারা গেল। আল্লাহর কাছে এর বিচার চাই।’

নিহতের মেয়ে আশা আক্তার বলেন, ‘বাবার মুখে ও চোখের পাশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন কি না, বুঝতে পারছি না।’

নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করত, তার অনেক প্রতিপক্ষ রয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে গেল, আর এক ঘণ্টার মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া গেল এটি খুবই রহস্যজনক।’

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমজাদ হোসেনের নামে রাজনৈতিকসহ অন্তত ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। একটি চেক জালিয়াতি মামলায় তার বিরুদ্ধে এক বছরের সাজা পরোয়ানাও ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তার বাসায় গেলেও, দরজা না খোলায় ফিরে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমজাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্ত জরুরি। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’

অভিযানে অংশ নেওয়া এসআই রাজিবুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, তারা আমজাদের বাড়িতে প্রবেশ করেননি।