রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি বিভাগের প্রবেশমুখেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢামেক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের দৃশ্য লক্ষ করা গেছে।
বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে একের পর এক সেনাবাহিনীর গাড়ি হাসপাতালে প্রবেশ করে। এদিকে আগে থেকেই পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানান, হাদিকে যখন জরুরি বিভাগে আনা হয়, তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও তার মাথার ভেতরে এবং কানের পাশে গুলি লেগেছে।
এই ঘটনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনি পরিবেশে এমন সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রধান উপদেষ্টা আহত হাদির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে হাদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন, রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনি প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি।


