২০১৬ সালের ১০ মে রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এর ঠিক নয় বছর পর একই তারিখে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে দলটি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের একটি সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধিত আইনে ট্রাইব্যুনাল এখন থেকে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ-সংগঠন বা সংশ্লিষ্ট সমর্থকদের বিরুদ্ধে শস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর শাহবাগ থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ছাত্র-জনতা ও জামায়াত সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন।
আন্দোলনকারীদের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, নিজামীর ফাঁসির দিনেই, যারা তাকে হত্যা করেছে, আজ সেই তারাই ইতিহাসের আদালতে হার মানল। আল্লাহর পক্ষ থেকে এর চেয়ে ভালো বিচার আর হতে পারে না।
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘দলটি প্রশাসনকে দলীয়করণ করে মানুষ খুন করেছে, এখন তারা নিজেরাই বিচারের মুখোমুখি।’
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তে বিএনপির আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় ভূমিকা ব্যাপকভাবে লক্ষ করা গেছে। জামায়াত ও ছাত্রশিবির মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।
এ আন্দোলন শুরু হয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসানাত আব্দুল্লাহর ডাকে। এরপরই হেফাজতে ইসলাম, ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, লেবার পার্টি, খেলাফত মজলিস, ইসলামি ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জুলাই মঞ্চসহ বহু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন একে একে সংহতি জানিয়ে মাঠে নামে।