সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রার ঘটনা তদন্তে তিন জন উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
রোববার (১১ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। অন্য দু’জন হলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তদন্ত কমিটি যেসব বিষয় তদন্ত করবে তাও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ৭ মে আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গেলেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না, কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত কার্যাবলি সম্পাদনের লক্ষ্যে এই কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, স্বাক্ষ্যপ্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সব সংস্থা কমিটি প্রদত্ত নির্দেশাবলি পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
আরও বলা হয়, কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হত্যা মামলার আসামি। তারপরও গত ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে তিনি বিদেশে চলে যান। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রার পরই মূলত সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে জোরেশোরে।
আন্দোলনে নামেন ছাত্র-জনতা। শেষমেশ শনিবার রাতে দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বর্তমান সরকার।