ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

‘সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা। ছবি-সংগৃহীত

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো মতপার্থক্য বা বিভেদ নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকায় সেনা সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনেই বাহিনীর সদস্যরা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে বলা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশাল মতপার্থক্য হয়েছে, বিভেদ হয়েছে। যেটা দেখছি মিডিয়াতে...এরকম আসলে কিছু হয়নি। সরকার ও সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। সুতরাং এটা নিয়ে মিস ইন্টারপ্রেট (ভুলভাবে ব্যাখ্যা) করার কোনো সুযোগ নেই।’ 

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেন এটাকে এমনভাবে না দেখি যে, সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে বা একে অন্যের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কখনোই নয়। সরকার সেনাবাহিনী একই সঙ্গে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে কাজ করে যাবো বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

সীমান্তে পুশ-ইনের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্তে যে পুশ-ইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি বন্ধ করতে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়লে সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী সেখানেও যুক্ত হবে।’

রাখাইনের মানবিক করিডর ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করিডর একটু স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবে না।’

এ ছাড়াও চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়া গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি সত্য কি না- তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।

মব তৈরি করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।

গত কয়েক মাসে সেনা অভিযানে বিভিন্ন মামলার তালিকাভুক্ত আসামিসহ ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।