আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় শেষ হচ্ছে আজ (রোববার ২২ জুন)। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। আর গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বেশকিছু নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান হয়েছে। যেসব দলের এখনো নিবন্ধন হয়নি।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১০০টির মতো দল আবেদন করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশকিছু দলের আজকে আবেদন করার কথা রয়েছে।
প্রথম দফায় গত ১০ মার্চ নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। আবেদনের শেষ সময় ছিল ২০ এপ্রিল। তবে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দল এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন জমা না দেওয়ায় ইসির কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করে। এটা বিবেচনায় নিয়ে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ায় ইসি।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন নামের দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী- একটি কেন্দ্রীয় কমিটির এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। এ ছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
