বেআইনিভাবে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ এনে যশোরের চৌগাছা থানার মাকাপুর গ্রামের ৩৬ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ।
গত ৬ মে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ মে চৌগাছা থানার এসআই মেহেদী হাসান মারুফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে ২৩ জনকে বাদসহ হয়রানি বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে।
আবেদনকারী স্নেহলতা পারভীন বলেন, ‘গত ০৬ মে কথিত এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি মামলা করা হয়। ঘটনার দিন সাধারণ পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য গ্রামের বাজার থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সেখানের যে ভিডিও রয়েছে সেটিতেও তা স্পষ্ট। তবে হয়রানি এবং গ্রামের সাধারণ মানুষকে ফাঁসাতে ৩৬ জনসহ আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর থেকে নানাভাবে গ্রামে হয়রানি ধড়পাকড় করে পুরুষ শূন্য করা হয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এ কে এম মর্তুজা রাসেল অধৈবভাবে জমি দখল করতে চৌগাছা থানার ওসিকে ম্যানেজ করছেন। রাসেলের পক্ষ নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। যার অংশ হিসেবে এ মামলা করা হয়েছে।’
‘মামলা খারিজসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি বন্ধের জন্য বিভিন্ন সময় থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি। হয়রানি বন্ধের জন্য এসপি অফিসেও জানানো হয়েছে। মামলার পরদিন ৮ মে ওসির নির্দেশে এসআই মারুফ, আশরাফ, হোসেন পাটুয়ারীসহ আরও ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে গ্রামের ছানাউল্লার ঘরের তালা ভেঙে ২৫ বস্তা ধান নিয়ে যায়।’
পারভীন বলেন, ‘মো. শফি ধান থানায় নিতে তার ইঞ্জিনচালিত গাড়ি (ট্রলি) ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে ওই ঘটনার শুরু থেকে পুলিশের কাজে সাহায্য করেন।’
তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহার আগে হাইকোর্ট থেকে এ মামলায় জামিন নেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষ হয়রানি বন্ধের দাবি নিয়ে ঢাকার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন। তবে কোনোভাবেই হয়রানি বন্ধ না হওয়ায় ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু বিচার আশা করছি।’
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যাচাই-বাছাই করেই মামলাটা নেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষ তো অনেক বক্তব্যই দেবে। আমাদের অফিসার তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ঘটনা যেটি সেটিই রিপোর্ট হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :