নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দুর্নীতি সংস্কৃতির অবসানের দাবিতে জেনারেশন-জেডের (জেন-জি) বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। তারা আরও জানায়, কয়েক দশকের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ অস্থিরতায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ১১৩ জন।
দুই দিনব্যাপী বিক্ষোভে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও শপিং মলগুলোতে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুদাথোকি বলেন, ‘শপিং মল, বাড়ি ও অন্যান্য ভবনে লাগানো আগুন বা হামলায় নিহত অনেক মানুষের লাশ এখন উদ্ধার করা হচ্ছে’।
গত সপ্তাহের ওই সহিংস বিক্ষোভে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট, সংসদ ভবন, পুলিশের কার্যালয়সহ অসংখ্য সরকারি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পারিবারিক বাড়িসহ বিভিন্ন রাজনীতিকের বাড়িঘরেও আগুন দেওয়া হয়।
সহিংস বিক্ষোভ চলাকালে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী অলি। এরপর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী বছরের ৫ মার্চ নেপালে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন