ভোটে অনিয়ম বন্ধে এবার নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগে নতুন কৌশল নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে। কোথাও কোথাও জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ভোট নিয়ে আমরা নানা ধরনের অপশন নিয়ে আলোচনা করেছি বিশেষজ্ঞদের ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে। শেষ পর্যন্ত দেখলাম ম্যাক্সিমাম লোকই পোস্টাল ব্যালটটাকে সাপোর্ট করে। এ জন্য আমরা কমিশন থেকে ডিসিশন নিয়েছি যে ভোট হবে অনলাইন বেসড পোস্টাল ব্যালট।
তিনি বলেন, মানুষের অপশন নেওয়ার জন্য আমরা এখন অনলাইনে একটা প্লাটফর্ম বানাব, তাদের প্রবাসী ভোটার হিসেবে ট্রিট করব। পরে তাদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠাব। এটা অনেকটা ব্যয়বহুল হবে। আমরা এজন্য ডিএইচএল ও ফেডেক্সের (আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস) সাথে কথা বলেছি। একেকটা ভোটের জন্য পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। তবে সরকারি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এটা করলে ভোটার প্রতি ৭০০ টাকা খরচ হবে।
সিইসি বলেন, আমরা কিছু পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোতে যেসব প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার ভোট কারচুপি সহায়তা করেছে, যথাসম্ভব আমরা তাদের পরিহার করব। এ বিষয়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনের জেলা অফিসাররা খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা অলরেডি এই কাজ শুরু করেছি।
কাদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের চিন্তা আছে ব্যাংকের অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া। কারণ এরা তো সরকারে ছিল না। এরা তো ভোট কারচুপির সহযোগী ছিল না। আমরা ব্যাংকগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা আগে তো এমন দায়িত্ব কখনো পালন করেনি। লোকাল গভর্মেন্টে কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিল। বহু সিটি করপোরেশনে তো তারা রিটার্নিং অফিসার ছিল। তবে শুধু নিজস্ব কর্মকর্তা হলেই তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেবে না ইসি। এক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মোটামুটিভাবে তাদের যোগ্যতা দেখে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অফিসারদের নিয়োগ করব। তবে শর্ত হলো যে, তাদের উপযুক্ত কর্মকর্তা হতে হবে। বাকিটা আমাদের জেলা প্রশাসকের ওপর নির্ভর করতে হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে যাদের যোগ্য মনে হবে তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :