জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারীদের জোরালো অংশগ্রহণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ও বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের কণ্ঠস্বরেই আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ শক্তিশালী হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের ত্রয়োদশ দিনের আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনার শুরুতেই অধ্যাপক রীয়াজ ‘সংগ্রামী জুলাই’ স্মরণ করে বলেন, চব্বিশ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্রদের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ১৪ জুলাই নতুন গতি পায়।’
তিনি বলেন, ‘নারীদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতে রাজপথে নেমে আসে। সর্বস্তরের জনগণের এই প্রতিরোধ ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে পশ্চাদপসরণে বাধ্য করে।’
তিনি আরও জানান, এই ঐতিহাসিক ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১৪ জুলাইকে ‘জুলাই নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
নারীদের আন্দোলনে বলিষ্ঠ অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘তাদের কণ্ঠস্বর আন্দোলনকে আরও জোরদার করেছে। রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। এভাবেই রাজনীতি, আইন প্রণয়ন এবং প্রশাসনে নারীদের মর্যাদাপূর্ণ অংশগ্রহণের পথ তৈরি হবে।’
আলোচনায় কমিশনের অন্যান্য সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সোমবারের আলোচনায় ‘নারী প্রতিনিধিত্ব’ এবং ‘দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ এই দুইটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :