ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়াকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার অন্তত এক মাস আগ পর্যন্ত ১৮ বছর বয়সি নাগরিকরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিবছর যারা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেন, কেবল তারাই পরবর্তী জানুয়ারির হালনাগাদ ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারেন। মার্চে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় থাকলেও নির্বাচনের তারিখ ফেব্রুয়ারিতে হলে অনেক নতুন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না।
ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, অর্থাৎ যাদের বয়স ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৮ বছর হয়, তারা পরবর্তী জানুয়ারি মাসের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।’
সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিববলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিবছরের ২ জানুয়ারি ওই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। এরপর ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেসব নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হয়, অর্থাৎ ভোটার হওয়ার জন্য যোগ্য হন, তারা ওই নির্বাচনে ভোটাধিকারের সুযোগ পান না। তাদের পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তাদের ভোটার তালিকায় নিয়ে আসাকে যৌক্তিক মনে করে। এ বিষয়ে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ধরুন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। তার সর্বোচ্চ দুই মাস আগে তফসিল ঘোষিত হয়। সে হিসেবে সর্বোচ্চ নভেম্বর, তার মানে নভেম্বর পর্যন্ত যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তারা ভোটার হওয়ার সুযোগ পান না। বরং আগের বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তারাই ভোটাধিকার পান।’
ফয়েজ আহম্মদ আরও বলেন, আজ যে অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন করা হলো, এর ফলে যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার অন্তত এক মাস আগপর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হবে, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।