মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন ওসমানী। তিনি ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সিলেটে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকালে ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকেলে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট নগরীর নাইওরপুলের ওসমানী জাদুঘরে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতিসংসদ সিলেটের পক্ষ থেকে আজ সোমবার বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার সংলগ্ন মসজিদে খতমে কোরআন, বাদ আসর মিলাদ মাহফিল ও দোয়া শেষে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।