শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম

৩০ অক্টোবরের পর বন্ধ হতে পারে যেসব সিম

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দেশে মোবাইল সিম ব্যবস্থাপনায় নতুন কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। এখন থেকে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে। পূর্বে এই সংখ্যা ছিল ১৫। নতুন এই নির্দেশনার ফলে যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সিমগুলো আগামী ৩০ অক্টোবর-এর মধ্যে ডি-রেজিস্টার করতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টার না করলে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় ব্যাপক প্রচার চালানোর জন্য অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, যেসব গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম রয়েছে, তাদের অবশ্যই নিজ উদ্যোগে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টার করতে হবে। তা না হলে অক্টোবরের পর ওই সিমগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না।

সাধারণ গ্রাহকদের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- নিজের নামে কতটি সিম রয়েছে তা জানতে মোবাইল থেকে *16001# ডায়াল করতে। এই মাধ্যমে সহজেই সিমের হিসাব জানা সম্ভব হবে।

বিটিআরসির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ প্রকৃত মোবাইল ব্যবহারকারী মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ।

পরিসংখ্যানে আরও দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক ৫টির কম সিম ব্যবহার করেন। ১৬ শতাংশ গ্রাহক ৬ থেকে ১০টি সিম ব্যবহার করেন, আর মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক ব্যবহার করেন ১১টির বেশি সিম।

বিটিআরসি মনে করছে, অতিরিক্ত সিমের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, যেমন- জালিয়াতি, সাইবার অপরাধ, ভুয়া পরিচয়ে যোগাযোগ ইত্যাদি বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই সিম সীমাবদ্ধতার এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে গ্রাহক তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, সিম ব্যবস্থাপনা সহজ হবে এবং মোবাইল অপারেটরদের জন্য কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

Link copied!