বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১২:১১ পিএম

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মিঠু গ্রেপ্তার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১২:১১ পিএম

মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। ছবি- সংগৃহীত

মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর গুলশান থেকে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা রয়েছে। 

দুদকের চাহিদাপত্র অনুযায়ী, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজই তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

দুদক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিঠু স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, মিঠু লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইস ও টেকনোক্রেট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। কৃষিজমি ক্রয়, জমি লিজ, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণে তিনি মোট ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ার ও বিনিয়োগ, গাড়ি ক্রয়, ব্যাংক হিসাব, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে আরও ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ তার নামে পাওয়া গেছে।

স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া মিঠুর নামে পারিবারিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়ায় প্রায় ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বৈধ উৎসের সঙ্গে তুলনা করলে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। এজন্য দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মিঠুর নাম ২০১৬ সালে প্রকাশিত পানামা পেপারসে উঠে আসে। অভিযোগ রয়েছে, তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়নকাজের নামে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

Link copied!