আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা (২০২৫)। চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকাশিত রুটিনে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ীই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত রুটিনে এ তথ্য জানানো হয়। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর অন্তত সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে।
উত্তরপত্রে ওএমআর ফরমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। উত্তরপত্র ভাঁজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা বোর্ড অনুমোদিত সাধারণ বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে মোবাইল ফোনসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা যাবে না। শুধু কেন্দ্রসচিব প্রয়োজনে মোবাইল রাখতে পারবেন। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ সময়সূচিতে পরিবর্তন আনতে পারবে।
ফরম পূরণ ও প্রশ্নপত্র বণ্টন
অনলাইনে ফরম পূরণ চলবে ৫-৯ অক্টোবর পর্যন্ত। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর।
প্রশ্নপত্র বণ্টন ও যাচাইয়ের কাজ হবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর। এরপর ১৬-২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ১০ ডিসেম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টন
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রকাশিত নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে ১০০ করে, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৫০ নম্বরসহ মোট ৪০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় নির্ধারিত হয়েছে তিন ঘণ্টা।
পরীক্ষার্থীর যোগ্যতা ও বৃত্তি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (৭ম শ্রেণির সব প্রান্তিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। প্রয়োজনে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি এ সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ— এই দুই ধরনের বৃত্তি থাকবে। বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছেলে এবং ৫০ শতাংশ মেয়েদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে তা বিপরীত লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি বিদ্যালয় পরিবর্তন করে থাকে, তবে পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের মেধাক্রম বিবেচনায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।