ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ট্রাইব্যুনালে ওয়্যারলেস বার্তা

সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ  দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিব

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৭ জুলাই ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমান পুলিশকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে তার নির্দেশনার ওয়্যারলেস বার্তার অডিও উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, জান-মাল রক্ষায় সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। আমি আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছি। পরিস্থিতি বুঝে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করবেন। ওই বেতার বার্তাটি এ সময় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের সামনে শোনানো হয়।

এর আগে জবানবন্দিতে ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমানের সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগের নির্দেশের কথা জানান এএসআই কামরুল হাসান। তিনি ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে চালানো হত্যাকা-ের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫০তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তিনি।

এই মামলার অপর আসামি হলেনÑ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। মামলার আসামি চৌধুরী মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। কামরুল হাসান জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই তিনি ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। 

ওই দিন ১১ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে ডিএমপির কমিশনার সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেন। চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করার নির্দেশ দেন। তখন বার্তাবাহক হিসেবে আমি এবং আমার টিম সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটিতে তা পৌঁছে দিয়েছি। জবানবন্দি শেষ হলে তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।