ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অক্টোবরজুড়ে চলবে এই সংলাপ। এই সংলাপে পর্যায়ক্রমে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, নারী প্রতিনিধি ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু হয়। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ১২ জন আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন-সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব পক্ষের মতামত নিতে সংলাপের এ আয়োজন। এর অংশ হিসেবে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ।
এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সংলাপটি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল এবং অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে, যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ঘোষিত নির্বাচনি রোডম্যাপ অনুযায়ী, অংশীজনদের সঙ্গে এ সংলাপ এক থেকে দেড় মাস চলবে।
রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ভোটের দিনের অন্তত দুই মাস আগে তপশিল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
আগামী নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘আইটি সাপোর্ডেট পোস্টাল ভোটিং’ হচ্ছে। সেইসঙ্গে নির্বাচনি আইন বিধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটের সার্বিক প্রস্তুতির মতো বিষয় থাকবে আলোচনার টেবিলে।
সংলাপে আমন্ত্রিতদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সবার প্রত্যশা। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান। ইসি সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর।’
‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন বিধি সময়ের সাথে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে এবং হচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনায় রয়েছে প্রশিক্ষিত জনবল। তারপরও জাতীয় নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ যথাযথভাবে সম্পাদনে দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পযবেক্ষক, নারী নেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সবার মতামত, পরামর্শ সহযোগিতা প্রয়োজন।’
‘এমন পরিস্থিতিতে সবার সুচিন্তিত মতামত, পরামর্শ (প্রয়োজনে লিখিতভাবেও দেওয়া যাবে) নিতে এ মতবিনিময় সভা হচ্ছে।’