ঠাকুরগাঁওয়ে সিএনজি চালককে মারধরের ঘটনায় সিএনজি চালকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন ‘আমরা আর চাঁদা দিব না, পাগলুর কথা মানবো না, আর জিম্মি হয়ে সিএনজি থাকবে না।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর থানার সামনে তাদের গাড়ি এনে আবু সাঈদকে (৩৫) মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তারা।
জানা গেছে, শনিবার সকালে শহরের আর্ট গ্যালারিতে চাঁদা না দেওয়ায় আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক সিএনজি চালককে মারধর করেন একপক্ষ। পরে অনান্য সিএনজি চালকরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। রাতে সিএনজি চালকেরা একজোট হয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওই খানেই বিক্ষোভ করে তারা।
ভুক্তভোগী আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, ঠাকুরগাঁও আর্ট গ্যালারি থেকে পীরগঞ্জ রোডে প্রতিদিন প্রায় ৫০টি সিএনজি চলাচল করে। এসব গাড়ি থেকে প্রতিটি সিএনজির চালককে ২৫ টাকা করে দিতে হয় পাগলু সমিতিকে।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এখনো যদি আমাদের চাঁদা দিতে হয় তাহলে এর মানে কি? তাই আমরা চালক-মালিকরা সিদ্ধান্ত নেই আর চাঁদা দেব না। সেই সিদ্ধান্তের পর চাঁদা না দেওয়ায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সিএনজি ড্রাইভার আমাকে মারধর করেছে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সিএনজি, মিশুক, অটোরিকশা ও অটোটেম্পু মালিক সমিতির নেতারা জানান, ন্যায় বিচার না পেলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে তারা আজ রাতেই থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাগলু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। ড্রাইভারদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শালিসে বসা হবে। এরপরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সরোওয়ার আলম খান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।