নাটোরের লালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নুর আলম (২২) ও অজ্ঞাত (৫৫) এক নারী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের চিনিবটতলা মোড়ে ও রাত সোয়া ৯টার দিকে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কয়লার ডহর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের বালিতিতা ইসলামপুর (মহেশপুর) গ্রামের মৃত দুখু কসাইয়ের ছেলে ভ্যানচালক এরশাদ আলী (৪০) ও বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া গ্রামের মৃত ফজল আলীর ছেলে মো. বাবলু আলী (৬০)।
আহতরা হলেন- মোহরকয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মোটরসাইকেল চালক নুর আলম (২২) ও অজ্ঞাত (৫৫) এক নারী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালপুর-বাঘা মহাসড়কের উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের চিনিবটতলা মোড়ে রাজশাহীগামী (ঢাকা মেট্রো চ-৫১-৫৮৭৫) মাইক্রোবাস মহেশপুর গ্রামের মৃত দুখু কসাইয়ের ছেলে ভ্যানচালক এরশাদ আলীকে (৪০) সজোরে ধাক্কা দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওই গাড়ির চাকার নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘাতক মাইক্রোবাস ও চালক মো. হারুন অর রশিদকে (৩৫) আটক করে লালপুর থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কয়লার ডহর নামক স্থানে মো. বাবলু আলী (৬০) বিলমাড়িয়া থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল দিয়ে দ্রুত গতিতে ধাক্কা দেয়। এতে মো. বাবলু আলী ও মোটরসাইকেল আরোহী নুর আলম গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় অজ্ঞাত (৫৫) এক নারী আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাময়িক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মো. বাবলু আলীর মৃত্যু হয়।
লালপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।