বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে বিসিবির ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ বিএনপিপন্থি ক্রীড়া সংগঠনের বেশ কয়েকজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এরই মধ্যে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। তার দাবি, বিষয়টি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির কাছেও পৌঁছে গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, কেউ একজন সরাসরি ফোনে বিরাট কোহলির কাছে বিষয়টি জানান, যা পরে তিনি গৌতম গম্ভীরসহ অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) যমুনা টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফিক্সিংটা তামিম ভাইয়েরা করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। সভাপতি-সেক্রেটারিদের পক্ষ থেকে কল দিয়ে কাউন্সিলর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ডিসিদের ধমকও দেওয়া হয়েছে। এগুলো না বললেও, নির্বাচনের ফিক্সিংয়ের চেষ্টা ওনারাই করেছিলেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে কিছু কল রেকর্ড ও ডকুমেন্টস আছে, যেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচন করলে ৬ মাস পরে পরিণতি ভোগ করতে হবে। ইঙ্গিতটা জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী হুমকির মতো।’
কোহলির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেউ একজন ফোনে বিরাট কোহলির কাছে অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু এমন অভিযোগ বাইরে দেওয়া আসলে দেশের জন্য লজ্জাজনক।’
সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মতো আচরণের অভিযোগের জবাবে তিনি জানান, ‘পাপন ভাইয়ের সময়ে জেলা-ডিভিশন থেকে কাউন্সিলর আসতেন আওয়ামী লীগের নেতা বা তাদের আত্মীয়স্বজন। অথচ তাদের সঙ্গে ক্রীড়া সংগঠনের কোনো সম্পর্কই ছিল না। এখন কীভাবে বলা হয়, আমি একই পথে হাঁটছি?’
উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এখনো এনএসসি কোটায় দুই পরিচালক নির্ধারিত হয়নি। তবে নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা চলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তবুও নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন তিনি।