বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিপক্ষে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার আসনে কোনো প্রার্থী দিচ্ছি না। তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামী নেত্রী। তার প্রার্থিতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। ওই তালিকা অনুযায়ী ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ এবং বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির এই ঘোষণার পরদিনই এনসিপি জানায় এই তিনটি আসনে তারা কোনো প্রার্থী দেবে না।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা গণতন্ত্রের জন্য আশার আলো। আমরা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ছিলেন গণমানুষের কণ্ঠস্বর, বারবার কারাবন্দি হয়েও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলেন। তার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমাদের রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে যায় না।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘তারেক রহমানও প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যদি দেশে ফিরে নির্বাচন করেন, আমরা তাকেও স্বাগত জানাব। জামায়াত ইসলামের আমির, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর-সবাই যদি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হন, তাহলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, সংঘাত নয়, ঐক্য তৈরি করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক রাজনীতি ও ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তিই দেশকে স্থিতিশীল করতে পারে। সেই চিন্তা থেকেই আমরা খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অন্যদিকে, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, দলটি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশে সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তুলেছি। এই সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ১০০টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি বিশ্বাস করে, নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুললে দেশ এগিয়ে যাবে। রাজনীতি হবে জনগণের জন্য, কিছু গোষ্ঠীর জন্য নয়।’
        
                            
                                    

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন