বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

উপসচিব ‘বিজনেস ক্লাস’ মোতাকাব্বির এবার ওএসডি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

উপসচিব মোতাকাব্বির আহমেদ।

উপসচিব মোতাকাব্বির আহমেদ।

দুর্নীতি, বিলাসিতা ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগে বিতর্কিত উপসচিব মোতাকাব্বির আহমেদ এবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওএসডি হয়েছেন। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাকে পদ থেকে সরিয়ে ওএসডি হিসেবে বদলি করেছে, যা প্রশাসনে সাধারণত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর সরকার তাকে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (ATAB)-এর প্রশাসক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। অভিযোগ ছিল—দায়িত্বে থেকে তিনি নির্বাচনি কার্যক্রম না চালিয়ে এয়ার টিকিট সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়াতে সহযোগিতা এবং সদস্য বিভিন্ন বিরোধী কাজ করেন।

একজন উপসচিবের মাসিক বেতন যেখানে প্রায় ৬০ হাজার টাকা, সেখানে মোতাকাব্বিরের জীবনযাপন এখন প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই মাসের ব্যবধানে তিনি দুইবার পরিবারসহ বিজনেস ক্লাসে লন্ডন সফরে গেছেন— স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ। প্রতি সফরে খরচ হয়েছে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা; দুই সফরে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা।

এ ছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি তার মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যসহ মোট সাতজনকে নিয়ে বিজনেস ক্লাসে ওমরা পালনে সৌদি আরব যান। পাঁচতারকা হোটেলে থাকা, বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা— সব মিলিয়ে সেই সফরের ব্যয় ছিল আরও প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

প্রশ্ন উঠেছে, একজন সরকারি উপসচিবের এমন বিলাসী জীবনযাপনের উৎস কোথায়?

প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রাভেল এজেন্সি সিন্ডিকেট থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়া, ঘুষ লেনদেন ও দায়িত্বে গাফিলতি—এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে।

সরকারি প্রশাসনে ওএসডি পদে রাখা হয় সাধারণত যেসব কর্মকর্তা বিতর্কিত, অনিয়মে জড়িত বা দায়িত্ব থেকে সরানো প্রয়োজন বলে বিবেচিত হন। অর্থাৎ, মোতাকাব্বির এখন কার্যত দায়িত্বহীন ও প্রশাসনিকভাবে ‘সাইডলাইনে’।

তবু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এত দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিলাসিতার পরও তার চাকরি কীভাবে টিকে আছে? প্রশাসনের ভেতর থেকেই এখন এই প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে জোরালোভাবে।

Link copied!