ঢাকা সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

ধানমন্ডি ৩২ এ বুলডোজার প্রবেশের চেষ্টা : লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
ধানমন্ডি ৩২-এ ছাত্র-জনতার ওপর লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ। ছবি- সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দুটি বুলডোজার ঢুকতে চাইলে ছাত্র-জনতাকে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ছাত্র-জনতাকে ঠেকাতে লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ-সেনাবাহিনী। এতে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ট্রাকে করে বুলডোজার দুটি ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় আনা হয়। এ সময় কিছু তরুণ বুলডোজারের ওপর স্লোগান দিতে দেখা যায়। যখন একটি এক্সকাভেটর প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতাকে ঠেকাতে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার কারণে পুরো এলাকা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী কড়া অবস্থান নেন এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর আগে সেনাবাহিনী পুরো রাস্তা ঘিরে রাখে। অন্যদিকে, এক্সকাভেটরসহ অবস্থান নেওয়া ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগবিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করে। তাদের স্লোগানের মধ্যে ছিল, ‘মুজিব বাদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’ এবং ‘৩২ নম্বর বাড়িটি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।’

এ সময় তারা জানায়, ‘যত বাধাই আসুক, খুনি শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার পরপরই আমরা ৩২ নম্বর বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিতে চাই। এখান থেকেই আমাদের ভাই-বোন, মা-বাবাকে গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাড়ির কোনো স্মৃতি আর রাখতে চাই না।’

জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান বলেন, ‘যেবার প্রথম শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয় পালিয়ে যাওয়ার পর, সেবার আমরা প্রথম ধানমন্ডি ৩২ ভেঙেছিলাম। তখন নিশ্চিহ্ন করতে পারিনি। আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে আমরা আশা করছি শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধূলিসাৎ হবে।’

এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে একটি বুলডোজার ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। তারও আগে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঐতিহাসিক বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।