প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বোচওয়ে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বৈঠকে বসেন তারা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে সিইসির কাছে জানতে চেয়েছেন। এ সময় জানানো হয় যে, ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্বাচন সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিদেশে বসবাসকারী ভোটারদের জন্য ‘আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং’–এর প্রক্রিয়াও চলছে। ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম প্রবাসীদের এই অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে—এটি জেনে মহাসচিব সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এটি সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আইসিপিভির আওতায় দেশের ভেতরে প্রায় ১০ লাখ ভোটার। যারা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ দায়িত্বে নিয়োজিত তাদেরও ভোটদানের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। এটিও মহাসচিবের কাছে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।
আখতার আহমেদ বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন যে, একই দিনে রেফারেন্ডাম আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য বাড়তি দায়িত্ব। তবে ইসি যে প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে, তা দেখে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কমনওয়েলথ মহাসচিবকে উদ্ধৃত করে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মহাসচিব বলেছেন নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা, ট্রাস্ট ইন ইলেকশন সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো জরুরি। সিইসি বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রচার চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোও সহযোগিতা করবে বলে আশা করা হয়। এতে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, মহাসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, ৫৬ সদস্য দেশের সংগঠন হিসেবে কমনওয়েলথ প্রয়োজন হলে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। ব্রিটেনের সহযোগিতা পাওয়ায় তিনিও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সচিব বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে। কমনওয়েলথ মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন—তারা এসে নির্বাচনকে আরও ক্রেডিটেবল করতে ভূমিকা রাখবেন। এখনো পর্যবেক্ষক দলের সংখ্যা বা পাঠানোর সময় বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট হয়নি। প্রবাসী পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচন পর্যালোচনা করে তাদের অবস্থান জানাবেন।
আখতার আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস আলোচনার শেষাংশে মহাসচিব নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ওপর আস্থা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে এবং মহাসচিব আমাদের প্রস্তুতিকে সমর্থন ও আস্থা জানিয়েছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। শেষে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন, আমরা আশা করি, এবারের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও পার্টিসিপেটরি হবে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বোচওয়ের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।


