উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ‑২০২৫ অনুমোদনের পর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামীকাল বা পরিপ্রান্ত গেজেট জারি করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ভোটারদের বিভ্রান্তি এড়াতে গণভোটের ব্যালট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট থেকে আলাদা রঙের হবে।’
তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা একইভাবে গণভোট পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করবেন।’
এর আগে, গত ২০ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট আইন অনুমোদন করা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ করা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে জনগণের মতামত নিতে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজকের বৈঠকে এই গণভোট আয়োজনে অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
যে ৪ প্রশ্নে হবে গণভোট
১. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
২. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন হবে।
৩. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে। নিক
৪. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন