জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুক্রবার মধ্যরাত (৪ অক্টোবর) থেকে নদ-নদীতে শুরু হলো মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২২ দিন (৪ অক্টোবর-২৫ অক্টোবর) বলবৎ থাকবে।
জেলেদের নদীতে নামা ঠেকাতে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে নৌ পুলিশ ও হিজলা মৎস্য কর্মকর্তারা ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালাবেন। এতে মা ইলিশ নিধনকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে অভিযান চালানো সম্ভব হবে। প্রতিটি নজরদারি পয়েন্টে অন্তত চারটি ড্রোন ব্যবহার করা হবে, যেখানে ইলিশ ধরার তথ্য পাওয়া যাবে, সেসব স্থানে স্পিডবোট দিয়ে অভিযানে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
ভোলা জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতেই প্রতি বছর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ভোলার সাতটি উপজেলার নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮৬ জন হলেও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। নিষেধাজ্ঞাকালে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে, যার বরাদ্দ ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি জানান, আশ্বিনী পূর্ণিমার আগের চার দিন ও অমাবস্যার পরের তিন দিন মিলিয়ে মোট ২২ দিন এ অভিযান চলবে। এতে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অংশ নেবে।
ফরিদা আখতার আরও জানান, এ সময় ৩৭ জেলার ১৬৫ উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন