ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

‘অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। মিটফোর্ডে খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা আমাদের উদ্দেশ্য। মানুষ যাতে ভোট দিয়ে ভালো অনুভব করেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আবুল কালাম বলেন, ‘নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে বিগত সময়ে সাংবাদিকরা যেসব সমস্যায় পড়তেন এবার তেমন সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনারা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধি থাকবে—এবারও থাকবে আপনারা সেটা অনুসরণ করবেন। এরপরও যদি বাধার সৃষ্টি হয়, তাহলে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, যিনি কথা বলে সেই বাধাবিপত্তি দূর করবেন।’

তিনি বলেন, ‘সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে। সরকারের কারও প্রতি কোনো রাগ বা অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা যেন কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন, সেটাও দেখা হবে। এবার প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন। অনিয়ম দেখলে দ্বিধাহীন চিত্তে রিপোর্ট করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো দ্রুত কেটে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। হয়রানির অভিযোগে ব্যবহৃত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট গত পাঁচ বছরে অনেককে ভুগিয়েছে। সেটি বাতিল করা হয়েছে। ‘নতুন বোতলে পুরোনো মদ’ হিসেবে যে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আনা হয়েছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে।’

‘সাংবাদিকদের নামে হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে দু-একটি আবার প্রকাশ হতে শুরু করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোনো চ্যানেল বন্ধ হয়নি, বরং নতুন করে চালু হচ্ছে। এখন সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। সাংবাদিকতা করার কারণে কেউ মামলা বা হয়রানির মুখে পড়েননি।’

সভায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।