বাংলাদেশ নামটি শুনলেই যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ মাঠ, নদী-খাল-বিল, পাহাড়-ঝরনা, মসজিদ-মন্দির, সংস্কৃতি ও আতিথেয়তার এক মোহময় ছবি। ছয়টি ঋতুতে সাজানো এই দেশের প্রতিটি কোণায় রয়েছে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অপার সম্ভার। অথচ এই সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের দেশ আজও দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটন বাজারে পিছিয়ে। মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান কিংবা ভারত প্রতি বছর লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক টানছে, আয় করছে বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আমরা পারছি না সেই তুলনায় সামান্য একটি অংশও অর্জন করতে।
তাহলে প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশ কি প্রকৃতিগত সৌন্দর্যে পিছিয়ে আছে? মোটেও নয়। বরং আমরা প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে, ঋতু পরিবর্তনের রঙিনতায়, ঐতিহ্যে এবং লোকজ কৃষ্টিতে অনেক ক্ষেত্রেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে সমৃদ্ধ। দরকার শুধু সুসংহত পরিকল্পনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক প্রচার, এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর সমন্বয়।
পর্যটনে দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান: একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ
মালদ্বীপ
মাত্র ৫ লাখ মানুষের দ্বীপরাষ্ট্র। কিন্তু ২০২৩ সালে মালদ্বীপে এসেছিল প্রায় ১৯ লাখ বিদেশি পর্যটক। আয় ছিল প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। মালদ্বীপ পর্যটনকে কেন্দ্র করেই গড়ে তুলেছে জাতীয় অর্থনীতির একটি শক্ত স্তম্ভ। পর্যটন অবকাঠামো, পরিষেবা, গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং এবং টার্গেট মার্কেটিং তাদের এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
নেপাল
পর্বতারোহী ও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিস্টদের কাছে নেপাল এক বিশাল আকর্ষণ। তাদের বার্ষিক পর্যটন আয় প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার। কাঠমান্ডুর পুরাকীর্তি, পোখারার প্রকৃতি, এভারেস্ট বেস ক্যাম্প হাইকিং। সবকিছুই সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।
ভারত
ঐতিহ্য, ইতিহাস, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এবং ধর্মীয় পর্যটনের মিলনে ভারত বছরে ১ কোটির বেশি বিদেশি পর্যটক গ্রহণ করে। ২০২৩ সালে ভারতের পর্যটন খাত থেকে আয় ছিল প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ
অথচ বাংলাদেশে ২০২৩ সালে মাত্র ৩.২ লাখ বিদেশি পর্যটক এসেছিল (সেই সংখ্যার বড় অংশই ব্যবসায়িক কারণে আগত)। আয় হয়েছে আনুমানিক ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও কম। এখানে আমাদের বুঝতে হবে, বাংলাদেশ প্রকৃতির সৌন্দর্য বা বৈচিত্র্যে পিছিয়ে নেই, পিছিয়ে আছে শুধু পরিকল্পনা, সেবা মান এবং ব্র্যান্ডিংয়ে।
বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানসমূহ: পর্যটকের চোখে অনন্য এক অভিজ্ঞতা
১. কক্সবাজার
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত (১২৫ কিমি)। নরম বালুকাবেলা, সূর্যাস্ত, সি-ফুড এবং আধুনিক হোটেল। সার্ফিং, জেট স্কি, স্কুবা ডাইভিং চালু হলে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য।
২. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
প্রবাল দ্বীপ, নীল জলরাশি, রোমান্টিক পরিবেশ। ইকো-ট্যুরিজমের জন্য আদর্শ স্থান। ভোরের সূর্যোদয় আর রাতের তারা দেখতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য স্বর্গ।
৩. সুন্দরবন
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন তার বন্যপ্রাণ, অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করতে পারে। নদী-নালা, খাল-বিল আর গহীন বনের রহস্যময় পরিবেশ এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। উন্নত পরিবেশবান্ধব পর্যটন অবকাঠামো, নিরাপদ নৌভ্রমণ, গাইডেড ট্যুর ও আন্তর্জাতিক প্রচারণার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়ানো সম্ভব। সুন্দরবন দেখার মাধ্যমে সরকার বৈদেশিক আয় বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় জনগণের জীবিকাও উন্নত হবে। একে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরাই এখন সময়ের দাবি। এটি বোট-ট্যুর, ক্যাম্পিং, ফটোগ্রাফির আদর্শ স্থান।
৪. বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন রত্ন, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরপুর এক বিস্ময়ভূমি। বান্দরবানের সবুজ পাহাড় আর মেঘে ঢাকা নীলগিরি, নীলাচল ও বগা লেকের রূপ মুগ্ধ করে পর্যটকদের। খাগড়াছড়ির সাদেক ভ্যালি যেন এক লুকানো স্বর্গ, সবুজ পাহাড়, ঝরনা আর শান্ত প্রকৃতির সম্মিলনে গড়ে উঠেছে এক অপার সৌন্দর্যের ভূমি।
এটি নতুন পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অন্যদিকে, রাঙামাটির কাপ্তাই লেক দেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম জলাধার, যেখানে নৌকা ভ্রমণে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে। চারপাশে পাহাড়, সবুজ বন আর শান্ত জলরাশি, সব মিলিয়ে এক অপূর্ব শান্তির আবেশ এনে দেয়। এই তিন জেলার সম্মিলিত সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এগুলোর সঠিক প্রচার ও সংরক্ষণ পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বহুগুণ বাড়াতে পারে।
৫. সিলেট
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন জেলা- সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। প্রকৃতির এক অপার লীলাভূমি, যেখানে পর্যটকদের জন্য রয়েছে অগণন নান্দনিক ও বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা। সিলেট জেলাকে বলা হয় পুণ্যভূমি, আর এই শহর শাহজালাল ও শাহপরানের পুণ্যস্পর্শে হয়ে উঠেছে আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণনগরী।
কিন্তু সিলেটের প্রকৃতিও কম নয়; জাফলং-এর স্বচ্ছ নদী, সাদাপাথরের অনবদ্য সৌন্দর্য, আর জৈন্তিয়া পাহাড়ের কোলঘেঁষা মেঘালয়ের সীমান্তজুড়ে পাহাড়ি ঝরনা ও শাপলা বিল পর্যটকদের মনে এক বিশুদ্ধ বিস্ময় জাগায়। বিছানাকান্দির মোহনায় নৌভ্রমণ যেন প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়ার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র জলাবদ্ধ অরণ্য, যেখানে পানির ওপর গাছের প্রতিচ্ছবি এবং নদীর নীরব সৌন্দর্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।
এ ছাড়াও চা-বাগানের সমারোহে প্রকৃতি তার নিজেকে হাতে সবুজের বিছানা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বিছিয়ে রেখেছে। সুনামগঞ্জ যেন হাওরের দেশ। টাংগুয়ার হাওর তার বিস্তৃত জলরাশি, বিপুল আকাশের নিচে অপরূপ সৌন্দর্যময় টাংগুয়ার বিশালতা আর পরিযায়ী পাখির কলরবের জন্য বিখ্যাত। বর্ষা মৌসুমে টাংগুয়ার হাওরে নৌভ্রমণ এক স্বর্গীয় অনুভূতি এনে দেয়। মেঘালয়ের পাহাড় ঘেঁষে এই হাওরের ওপর যখন রাত নামে, দূরের আলো আর মেঘের পরশে সৃষ্টি হয় এক মায়াময় সৌন্দর্য, যা কোনো চিত্রকল্পকেও হার মানায়।
মৌলভীবাজার প্রকৃতির জীবন্ত চিত্র। হাকালুকি হাওর শুধু দেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। শীত মৌসুমে এখানে দেখা মেলে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির, যারা সাইবেরিয়া ও হিমালয় পার হয়ে আসে এ হাওরের অতিথি হয়ে। এ ছাড়া চা-বাগানের সবুজ ঢেউ, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য এই জেলাকে করেছে প্রাকৃতিক ও পরিবেশ পর্যটনের জন্য আদর্শ গন্তব্য।
এই তিন জেলার অপার সম্ভাবনা ও নান্দনিক সৌন্দর্য আমাদের পর্যটন শিল্পের অমূল্য রত্ন। সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগে এই অঞ্চলগুলো হতে পারে আন্তর্জাতিক পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট, জাফলংয়ের পাথর নদী, লালাখাল ও ভোলাগঞ্জ। সবকিছুই পর্যটকের চোখে এক প্রাকৃতিক চিত্রকল্প।
৬. মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি
বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার চিহ্ন। ইতিহাসপ্রেমী বিদেশি পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৭. ষাট গম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাটের পুরাকীর্তি
ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীর এক অসাধারণ নিদর্শন। পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার উত্তম মাধ্যম।
৮. সোনারগাঁও ও পানাম নগরী
লোকজ সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং পুরোনো বাংলার ইতিহাসকে ধারণ করে। বিদেশিদের জন্য স্থানীয় হস্তশিল্পের অনন্য সম্ভার।
৯. সন্ধ্যার বরিশাল ও কুয়াকাটা
বাংলাদেশর একমাত্র জেলা বরগুনার কুয়াকাটা, ‘সানরাইজ ও সানসেট পয়েন্ট ইন বাংলাদেশ’। যেখানে একসঙ্গে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। ‘ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল’- এই প্রবাদ বহু আগেই বরিশালকে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে। অসংখ?্য নদ-নদী এবং ভাসমান বাজারের মুগ্ধতা বরিশালকে আলাদা করে রেখেছে। বিশেষ করে রাতের নদীমাতৃক বরিশাল দারুণ আকর্ষণীয়।
কী করলে বাংলাদেশের পর্যটন হবে বিশ্বমানের
১. আন্তর্জাতিক মানের অবকাঠামো গড়ে তোলা
রাস্তাঘাট, হোটেল, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা, ইন্টারনেট ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে গন্তব্য অবধি ভ্রমণ যেন নির্বিঘ্ন হয়।
২. সহজ ও দ্রুত ভিসা সুবিধা
ই-ভিসা, অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু করে ট্যুরিস্টদের জন্য ভ্রমণ সহজ করতে হবে।
৩. পর্যটন পুলিশের কার্যকরী ভূমিকা
নিরাপত্তা ছাড়া পর্যটক আসবে না। বিশেষ করে বিদেশি নারীদের জন্য নিরাপদ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. এক্সক্লুসিভ ট্যুর প্যাকেজ চালু
চা-বাগান, সুন্দরবন, নদী-বিল, পাহাড়, এমন বৈচিত্র্যময় প্যাকেজ বিদেশিদের জন্য আকর্ষণীয়।
৫. দক্ষ পর্যটন গাইড ও হসপিটালিটি প্রশিক্ষণ
স্থানীয় যুবসমাজকে পর্যটন গাইড হিসেবে গড়ে তুললে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
৬. আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং
‘Bangladesh-Land of Six Seasons and Smiling Faces’. এই থিমে প্রচারণা চালাতে হবে বিশ্বের বড় বড় পর্যটন মেলায়।
৭. ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার ও হেল্পলাইন চালু
বিদেশিরা যাতে ভাষা ও তথ্য ঘাটতির কারণে বিপাকে না পড়েন, সেজন্য প্রতিটি গন্তব্যে আন্তর্জাতিক ভাষায় সহায়তা কেন্দ্র চালু করা জরুরি।
কীভাবে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গড়ে তুলতে হবে
সরকার
পর্যটন নীতি প্রণয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ভিসা সহজীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন।
বেসরকারি খাত
হোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর প্যাকেজ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং।
স্থানীয় প্রশাসন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ। সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া: প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টি।
এয়ারলাইনস ও ট্যুর কোম্পানি
কম খরচে ট্র্যাভেল ডিল এবং দেশি-বিদেশি সংযোগ। সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিন বাংলাদেশ শুধু একটি দেশ নয়, এটি একটি জীবন্ত বৈচিত্র্য। একদিকে সমুদ্রসৈকত, অন্যদিকে পাহাড়-নদী। একদিকে হাজার বছরের ইতিহাস, অন্যদিকে আধুনিক রিসোর্ট। আর আছে ছয়টি ঋতুর মোহনীয় রূপ।
এই দেশের পর্যটন শিল্পকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ এবং একটি নতুন ‘ব্র্যান্ড বাংলাদেশ’। তবে এর জন্য এখনই প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট, বাস্তবভিত্তিক এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। আর এই কাজে সরকার, বেসরকারি খাত, স্থানীয় প্রশাসন, মিডিয়া, উদ্যোক্তা, সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা জানি বাংলাদেশ পর্যটন বিভাগ ও সরকার অনেক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে এর বাইরেও বেসরকারি- সরকারি উদ্যোগ আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। আমার মনে হয় বাংলাদেশকে বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বানাতে হলে এখনই সময় কাজ করার।
লেখক: ভাইস চেয়ারম্যান, চ্যানেল এস।

 
                             
                                    



 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন