দীর্ঘ ১৭ বছর পর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন চিকিৎসক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
তার এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক, পারিবারিক ও মানবিক দিক থেকে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাদের বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জোবাইদা রহমান রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসা ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই বাসার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। জুবাইদার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাড়ির চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন সিএসএফ সদস্যরা, সঙ্গে থাকবেন পুলিশ সদস্যরাও। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে যেন এলাকাবাসীর কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিরাপত্তার নামে মানুষকে বিরক্ত করা যাবে না—এটা স্পষ্ট নির্দেশ। জোবাইদা রহমানের যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য পৃথক যানবাহনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের গুরুতর অসুস্থতার পর আদালতের নির্দেশে চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হয়। সেই সময় সঙ্গে যান স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
ওয়ান-ইলেভেনের সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে এই পরিবারটি দেশ ছাড়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন।
