ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

মোংলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এনসিপি নেতার মামলা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে মোংলা পৌর বিএনপি। ছবি- সংগৃহীত

বাগেরহাট মোংলায় বিএনপির ২১ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক উইংয়ের এক নেতা।

মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক পৌর মেয়র ও বন্দর বার্থ শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে মোংলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের মোংলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তিতুমীর চোকদার।

মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মামলার বাদী তিতুমীর চোকদার লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শাসনামলে মোংলা বন্দর শ্রমিক সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্তাব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রণে রেখে সাধারণ শ্রমিকদের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার অনুসারীদের দিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব পরিচালনা শুরু করেছে।’

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে শ্রমিক সংঘ চত্বরে তলবি সভা আহ্বান করে সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় একই স্থানে মে দিবস পালনের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি-সমর্থিত শ্রমিক দল।

এ পরিস্থিতিতে বিএনপি ও এনসিপি সমর্থিত শ্রমিকরা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে অনড় থাকে। ২৯ এপ্রিল বিকেলে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতাসহ তাদের সমর্থিত স্থানীয় শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে শ্রমিক সংঘ চত্বরে এগিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে হট্টগোল, হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

এতে একাধিক শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার রাতে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতা তিতুমীর চোকদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদীর অভিযোগ, তাকেসহ এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা ও মারধরসহ তাদের নারী নেত্রীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় শ্লীলতাহানি করা হয়।

মামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। বুধবার (২১ মে) দুপুরে মোংলা প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে পৌর বিএনপি।

লিখিত বক্তব্যে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান হোসেন বলেন, ‘বিএনপির জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই মিথ্যা ও পরিকল্পিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে স্থানীয় বিএনপি।’

বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক ভূমিকা রোধ করতে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

এদিকে, মামলার পরপরই মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার বিকেলে পৌর শহরে দুই দফা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে বিএনপি। এতে শহরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।