ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

একটা পদ নিয়েই তারা যা করলো, নির্বাচনে কী করবে তা বোঝাই যাচ্ছে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৩:১৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাজপথে অবস্থান নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘একটি পদ নিয়েই তারা যা করলো, নির্বাচনে তারা কী করবে তা বোঝাই যাচ্ছে।’

 তিনি বলেন, ‘এটা কারও ব্যক্তিগত পদ আদায়ের আন্দোলন নয়, বরং জাতীয় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের দাবিতে জনগণের প্রতিরোধ।’

বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই তরুণ নেতা। এর আগে বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান তিনি।

আন্দোলনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইশরাক বলেন, ‘নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিয়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু দেখা গেল, সরকারেরই দুইজন উপদেষ্টা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, যেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে।’

তিনি দাবি করেন, ‘এ অবস্থায় ডিএসসিসি নবনির্বাচিত মেয়র আসিফ মাহমুদ ও সংশ্লিষ্ট আরেক উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’

ইশরাক আরও বলেন, ‘তারা পদত্যাগ করে চাইলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন। কিন্তু সরকারের কাঠামোর মধ্যে থেকে কোনো হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।’

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি কোনোদিনও শপথ নেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজনীতি করিনি। রায় পেয়েও বৈষম্যের শিকার হয়েছি। তাই এটা আমার ব্যক্তিগত লড়াই নয়, বরং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ন্যায্য অধিকারের প্রশ্ন।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চাই। কিন্তু এখন ইসি-কে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’

ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন। তিনি লিখেছেন, ‘আন্দোলনকারী জনতার প্রতি সংহতি জানাতে আমি সরাসরি রাজপথে অবস্থান করব, যতদিন প্রয়োজন।’ দুপুরের আরেক পোস্টে তিনি সমর্থকদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানান।

এদিকে বুধবার দুপুরে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে আসিফ মাহমুদকে শপথ নিতে না দেওয়ার দাবিতে দায়ের করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ইশরাকের সমর্থনে কাকরাইল, প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন এলাকায় সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও সমর্থিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ফলে শাহবাগ, হাইকোর্ট, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জাতীয়তাবাদী সমর্থিত কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকেও আন্দোলনে সংহতি জানানো হয়েছে। নগর ভবনের বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে রেখে তারা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রাখে।