ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় হাজির স্বামী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন সরোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি।

শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে চার বছর বয়সী সন্তান সারফারাজকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাউফল থানায় এসে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, সরোয়ারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাউফলের চন্দ্রপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার স্ত্রী সালমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সালমা (৩২) পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে।

জানা গেছে, চাকরির সুবাদে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তান চন্দ্রপাড়ায় মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দাম্পত্য কলহ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে।

পুলিশ আরও জানায়, গত বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী সালমার ঘাড়ে কোপ দেন সরোয়ার। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এরপর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। অবশেষে শুক্রবার ভোরে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।

বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার স্বীকার করেছেন যে, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহ থেকেই তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলমান।’

এ ছাড়া শিশু সারফারাজ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।