ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দেওয়ার কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে আলোচনা। এর মধ্যে অনেকে নিজের পছন্দের প্রার্থীর নাম জানাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ কার সঙ্গে কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে ভালো হবে তা নিয়ে পোস্ট করছেন।
গুঞ্জন উঠেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসএসসি) নির্বাচনে বিএনপি নেতা ইশরাকের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাদিক কায়েম।
হাসনাত আবদুল্লাহ এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক এবং সাদিক কায়েম শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নেতৃত্বে ছিলেন।
দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ ঘটা নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত।
নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘শোনা যাচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেবে আসিফ মাহমুদ সরকার। এনসিপির মানুষজন ইশরাক হোসেন বনাম হাসনাত আবদুল্লাহ প্রচারণা চালাচ্ছে। যদি নির্বাচন হয়-ই, আমি ব্যক্তিগত আরেকটা অ্যাংগেল দিই। ইশরাক হোসেন বনাম হাসনাত আবদুল্লাহ বনাম সাদিক কায়েম।খেলা হবে?’
ইশরাক ও হাসনাতকে নিয়ে কথা বলেছেন এনসিপির যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন গত সাত দিনে ঢাকা শহরে যে নাগরিক-দুর্ভোগ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অপরিপক্বতা ও অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, তাতে যদি সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয় এবং সেখানে (রূপক অর্থে) হাসনাত আবদুল্লাহ যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে ইশরাক হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে!’
তবে কি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সাদিক কায়েম?- এ প্রশ্নের উত্তর এখনই না মিললেও সময়ই বলে দেবে।
এদিকে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল- তা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ইশরাকের শপথ নিতে আর বাধা নেই।