বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

কারাগারে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন আ.লীগ নেতারা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

জুনায়েদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান ও সালমান এফ রহমান। ছবি- সংগৃহীত

জুনায়েদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান ও সালমান এফ রহমান। ছবি- সংগৃহীত

ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে নিঃসঙ্গ কারাবাস- এ যেন এক নাটকীয় উত্থান-পতনের গল্প। একসময় দেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা আজ দিন কাটাচ্ছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের চার দেয়ালে। সেখানে ২৬ জন ভিআইপি বন্দির মধ্যে রয়েছেন সালমান এফ রহমান, শাজাহান খান এবং জুনায়েদ আহমেদ পলকের মতো হেভিওয়েট নাম।

কারা সূত্রে জানা গেছে, ভিআইপি বন্দিদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বিশেষ ডিভিশন সুবিধা। প্রতিটি কক্ষে একটি খাট, টেবিল ও চেয়ারসহ রয়েছে টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিক পড়ার ব্যবস্থা। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে মাছ বা মাংস, আর চাইলে কারাগারের ক্যান্টিন থেকেও খাবার কেনা যায়। রয়েছে একটি লাইব্রেরিও, যেখানে প্রায় ২ হাজার বই আছে।

সালমান এফ রহমান

বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যিনি ২০১৭ সালে চীনা সংস্থা হুরুন গ্লোবালের তালিকায় বিশ্বের ২০০০ ধনীর মধ্যে ছিলেন, এখন সময় কাটাচ্ছেন কোরআন তেলাওয়াত, তসবিহ ও নামাজে।

ফজরের পর হাঁটাহাঁটি, এরপর দিনের বাকি সময় ইবাদতে। নেই মোবাইল, নেই দাপ্তরিক ব্যস্ততা। কারাগারের অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা বলেন, তবে সন্ধ্যার পর একান্তে থাকেন নিজের কক্ষে। খাবার আসছে ক্যান্টিন থেকেই, কিন্তু মানসিক প্রশান্তির উৎস এখন শুধুই ধর্মীয় অনুশীলন।

শাজাহান খান

মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা নেতা শাজাহান খান কারাগারে জীবন কাটাচ্ছেন বেশ গুছিয়ে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন, পড়েন পত্রিকা ও রাজনৈতিক বই। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং অতীত রাজনীতির গল্প শোনাতে ভালোবাসেন সহবন্দিদের।

জানা গেছে, তিনি একটি আত্মজীবনী লেখার কাজেও হাত দিয়েছেন। লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ ও বাইরে থেকে বই আনার আবেদনও করেন নিয়মিত।

কারা কর্তৃপক্ষের মতে, তিনি একজন শান্ত ও শৃঙ্খলাবান বন্দি।

জুনায়েদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জুনায়েদ আহমেদ পলকের জীবনে এসেছে চরম এক বিপর্যয়। কারাগারে তিনি সময় কাটাচ্ছেন নিঃসঙ্গতায়। অন্য বন্দিদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না। অনেক সময় চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়, চোখে জলও আসে মাঝে মাঝে।

নিজের মামলার খুঁটিনাটি বুঝতে তিনি কারাগারে এনেছেন ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’, ‘দণ্ডবিধি’, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও জাতীয় সংসদের বক্তৃতা সংকলনসহ পাঁচটি বই। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Shera Lather
Link copied!